দোহার প্রতিনিধি,
ঢাকার দোহারের লটাখোলা এলাকায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোহার থানা একটি মামলা হয়েছে আসামি বাহারুল ইসলাম ওরফে হিরুর বিরুদ্ধে। হিরুর স্ত্রী পেশায় একজন শিক্ষিকা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বিশ বছর আগে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চৌকিঘাটা এলাকার মো. জালাল উদ্দিনের মেয়ে নুপুর সুলতানার সঙ্গে ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা এলাকার গুঞ্জর আলীর ছেলে বাহারুল ইসলাম হিরুর বিয়ে হয়। সে ঘরে বর্তমানে ১৪ বছরের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নুপুর নবাবগঞ্জ উপজেলার কালুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছে।
বিয়ের পর থেকে কয়েকদফায় এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকসহ ধার নেয় হিরু। যেটা দিচ্ছি দিচ্ছি বলে আর দেয় না। এরপরে আবার নুপুরকে টাকার দাবিতে চাপ দিচ্ছিল হিরু। এছাড়া বিভিন্নভাবে ওই শিক্ষিকাকে পরকীয়ার কথা বলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও করে আসছিল সে।
গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষিকা তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি আসলে একই অযুহাতে তাকে মারধর করে ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে তার মাথার সব চুল কেটে দেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে তার বাবাকে জানালে সে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দোহার থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে যৌতুকের কথাও বলা আছে।
এ ঘটনার একদিন পর গতকাল বুধবার রাতে মামলা হওয়ার পরেই তার পাষণ্ড স্বামী বাহারুলকে দোহার থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করে।
দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত এসএম কামরুজ্জামান জানান, এটা একটা অত্যন্ত নেক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা নিয়েছি এবং আসামি বাহরুলকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।